মুক্তিযুদ্ধকালীন গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায়েও মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রয়েছে।
তবে জামায়াতের এই আমিরের দাবি, মুক্তিযুদ্ধকালীন গণহত্যার পরিস্থিতি তৈরির জন্য তৎকালীন সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান ও পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো দায়ী। মাওলানা নিজামী নির্দিষ্ট করে গণহত্যার জন্য ভুট্টোকে দায়ী করেন। একই সঙ্গে ভুট্টোকে পাকিস্তানের নেতৃত্বে টিকিয়ে রাখতে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার রেখেছিল বলে অভিযোগ করেন তিন। জামায়াত আমির বলেন, ভুট্টোকে পাকিস্তানের নেতৃত্বে টিকিয়ে রাখতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। ১৯৭৪ সালে ভূট্টো বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় মেহমান হিসেবে এসেছিলেন। তখন তাকে নজিরবিহীন সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল। এতো মানুষের ঢল নেমেছিল যে, তাকে হেলিকপ্টারে করে সাভার স্মৃতিসৌধে নিতে হয়েছিল। জামায়াত ও ছাত্রসংঘের কেউ কোন ধরনের অনৈতিক, মানবতা বিরোধী কোন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল না বলেও তার দাবি।
২০১২ সালের ২৮ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করলে ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নিয়ে দেওয়া একমাত্র বক্তব্যে নিজামী মুক্তিযুদ্ধকালীন অপরাধের অভিযোগের ব্যাখ্যা দেন।
মাওলানা নিজামী তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগকে ইতিহসের জঘন্যতম মিথ্যাচার উল্লেখ করে বলেছেন, এর সাথে আমার ন্যূনতম কোন সম্পর্ক নেই। প্রতিহিংসার রাজনীতি চরিতার্থ করার জন্যই এই বিচার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমার ভূমিকা রাজনীতির বাইরে অন্য কিছু ছিল না। অন্য কিছুর সাথে জড়িত ছিলাম না। রাজনৈতিক ভূমিকার কারণেই যুদ্ধাপরাধ বা মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনার সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। তিনি আরো বলেন, আমি নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার, আল্লাহর কাছে পরিষ্কার, আমার রাজনৈতিক ভূমিকা ছিল। কিন্তু কোন ধরনের অনৈতিক, মানবতা বিরোধী কোন কর্মকান্ডের সাথে আমি জড়িত ছিলাম না, আল্লাহ আমাকে জড়িত করেননি। তিনি বলেন, কোন সরকারই শেষ সরকার নয়, দুনিয়ার কোন বিচারই শেষ বিচার নয়। এই বিচারের শেষে আরেক বিচার আছে। যেখানে সবাইকে দাঁড়াতে হবে।
গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সময় দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক, সদস্য বিচারপতি আনোয়ারুল হক, বিচারক একেএম জহির আহমদ উপস্থিত ছিলেন। মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমার ভূমিকা রাজনীতির বাইরে অন্য কিছু ছিল না। অন্য কিছুর সাথে আমরা জড়িত ছিলাম না। রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। জামায়াতে ইসলামীও এ দাবি জানিয়েছিল, ছাত্রসংঘও এ দাবি জানিয়েছিল। যদি ওই নির্বাচনের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হতো, তাহলে ইতিহাসের এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতো না। সেই সাথে ইতিহাস জানে, ক্ষমতা হস্তান্তরের পথে কে বা কারা বাধা সৃষ্টি করেছিল। ক্ষমতা হস্তান্তরের পথে জামায়াতে ইসলামী বাধা সৃষ্টি করেছিল এমন একটি কথার কোন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না।
মাওলানা নিজামী বলেন, ভূট্টোর কথায় আমিই প্রথম প্রতিবাদ করেছিলাম। ক্ষমতা হস্তান্তরের পথে বাধা সৃষ্টি করেছিলেন ভূট্টো। তিনি ইয়াহইয়াকে ব্যবহার করেছিলেন, নাকি ইয়াহইয়া ভূট্টোকে ব্যবহার করেছিল, নাকি দু'জনই এক সাথে মিলে করেছিল, তা তদন্তের দাবি রাখে। জেনোসাইডের পরিস্থিতি যে কারণে হয়েছিল, সেই কারণের সাথে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। মাওলানা নিজামী বলেন, ঘটনাক্রমে আমি সেই সময় অবিভক্ত পাকিস্তানের ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলাম। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত আমি দায়িত্বে ছিলাম। ২৫-৩০ তারিখের মধ্যে পাকিস্তানের (তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান) মুলতানে কনফারেন্সের মাধ্যমে আমি দায়িত্ব মুক্ত হই। এরপর আমার আর কোন কার্যক্রম ছিল না। পরে আমি একটি রিসার্চ একাডেমিতে ফেলো হিসেবে কাজ করি। তিনি বলেন, ১৬ নং অভিযোগে যা বলা হয়েছে, আসলে আমি সেই সময় ছাত্রসংঘের সভাপতি কেন, ছাত্রসংঘের সদস্যই ছিলাম না, আর জামায়াতে ইসলামীরও কোন দায়িত্বে ছিলাম না। সে সময় আমার কোন ভূমিকাও থাকার কথা নয়। মাওলানা নিজামী বলেন, আলবদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে আমাকে বলা হয়েছে। কিন্তু চার্জে যে সব পত্রপত্রিকা এভিডেন্স হিসেবে দেখানো হয়েছে, তার কোনটিতেই আমাকে আল বদর বাহিনীর কমান্ডার, রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার বা অধিনায়ক উল্লেখ নেই। চার্জ হিসেবে যে বই দেয়া হয়েছে, তার ৩৬ পৃষ্ঠায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, আগে যেটা আনসার বাহিনী ছিল, পরে তা রাজাকার বাহিনীতে রূপান্তর করা হয়। আনসার বাহিনীর সব সম্পদ রাজাকার বাহিনীকে দেয়া হয়। আনসার বাহিনীর এডজুটেন্ট, রাজাকার বাহিনীর এডজুটেন্ট হয়েছে। সেখানে যারা অফিসার ছিল, তারাই রাজাকার বাহিনীর অফিসার হয়। সেখানে আমার সেই বাহিনীর অধিনায়ক হওয়ার সুযোগ কীভাবে আসবে? আপনাদের তৈরি করা বই থেকেই প্রমাণিত হয়, আমার অধিনায়ক হওয়ার সুযোগ ছিল না।
মাওলানা নিজামী বলেন, ছাত্রসংঘের সভাপতি হিসেবে বিভিন্ন বক্তব্য দেয়াকে অভিযোগ হিসেবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু পত্রিকার পুরো বক্তব্যের সাথে আমি একমত নই। যশোরে একটি বক্তব্যে সূরা তাওবার ১১১-১১২ নং আয়াতের কথা উদ্ধৃত করা হয়েছে। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, ১১১ নং আয়াতের আংশিক তরজমা সেখানে দেয়া হয়েছে। আর ১১২ নং আয়াতের কোন শব্দেরই তরজমা নেই। এটা প্রমাণ করে, সংবাদপত্রে পুরো বক্তব্য রিপোর্ট হয় না। অন্য জায়গায়ও এমন হয়ে থাকতে পারে।
এ সময় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান আবারো বক্তব্য শেষ করতে বলেন। এরপর মাওলানা নিজামী বলেন,আমার বিরুদ্ধে ফৌজদারী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার, আল্লাহর কাছে পরিষ্কার, আমার রাজনৈতিক ভূমিকা ছিল। কিন্তু কোন ধরনের অনৈতিক, মানবতা বিরোধী কোন কর্মকান্ডের সাথে আমি জড়িত ছিলাম না, আল্লাহ আমাকে জড়িত করেন নি। যে সব ঘটনা বলা হয়েছে, তার কোন একটি আমার উপস্থিতিতে, আমার জ্ঞাতসারে বা সম্মতিতে হয়নি। আমি জানতামও না। তিনি বলেন, কয়েকটা জায়গায় আমি সফর করেছি পত্রিকায় এসেছে। আমি বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। কিন্তু যুদ্ধকালীন সময়ে আমি বাবা মায়ের সাথে দেখা করতে একবারের জন্যও বাড়ীতে যাইনি। সেখানে অবস্থান করিনি। আমি পূর্ণ দায়িত্বশীলতার সাথে বলছি, আমাকে জড়িয়ে যে সব কাহিনী বলা হয়েছে, তা ইতিহাসের জঘন্যতম মিথ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। এর সাথে আমার নূন্যতম কোন সম্পর্ক নেই। এখানে যে সব স্থানের নাম বলা হয়েছে, তার অনেকগুলো আমি চিনতামই না।
মাওলানা নিজামী বলেন, করমজার ঘটনায় বলা হয়েছে, ওই এলাকার মানুষ আমাকে ভোট না দেয়ায় তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে আমি প্রতিশোধ নিয়েছি। কিন্তু '৭০ সালে তো আমি নির্বাচনই করিনি। প্রার্থীও হই নি। তাহলে সেখানে প্রতিশোধ নেয়ার প্রশ্ন আসছে কী করে? আমি '৮৬ সালে প্রথম নির্বাচন করি। চেয়ারম্যান আবারো থামার জন্য বলেন। এরপর মাওলানা নিজামী বলেন, ১৯৮৮ সালের ডিসেম্বর মাসে সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে প্রথম পত্রিকায় আমার নাম ছাপা হয়। সে দিন দুপুরে বাসায় যাওয়ার পর আমার স্ত্রী আমাকে জানায়, একজন আমার বাসায় বন্ধু সেজে ফোন করেছিল। সে আমার স্ত্রীকে বলেছে, আপনি কী বিধবা হতে চান? আমরা আপনার স্বামীকে মেরে ফেলবো। যদি বিধবা না হতে চান, তাহলে তাকে সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব নেয়া থেকে বিরত রাখুন, জামায়াতের সক্রিয় কার্যক্রম থেকে বিরত রাখুন। তখন আমার স্ত্রী বলেছিল, তিনি যা করছেন জেনে বুঝেই করছেন। আমি তাকে বিরত রাখার দায়িত্ব নিতে পারি না। মাওলানা নিজামী বলেন, ১৯৯১ সালে এমপি নির্বাচিত হয়ে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হই। ১৯৯২ সালে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি হয়েছে। সে সময় সংসদ, সুপ্রীমকোর্ট ও রাজপথে আমাকে লড়তে হয়েছে। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে আমাকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হয়েছিল। তখন থেকেই আমি তাদের নজরে আসি। তিনি বলেন, ২০০০ সালের নভেম্বর মাসে জামায়াতের আমীরের নির্বাচনের ফলাফলে আমার নাম ঘোষণা করা হয়। সে সময় আমি প্রথম আমীর নির্বাচিত হই। ফলাফল ঘোষণার পর সিদ্ধান্ত হয় ৬ ডিসেম্বর শপথ হবে। শপথের দিন করমজায় পুরাতন কবর থেকে হাড্ডি বের করে টেলিভিশনে প্রদর্শন করা হয়। আর এটা করা হয়, নব নির্বাচিত আমীরকে বিতর্কিত করার জন্য। করমজার ঘটনা আগে কেউ আমার কানে দেয়নি। এই করমজা থেকেই আমি ২০০১ সালের নির্বাচনে বেশী ভোট পেয়েছিলাম। চেয়ারম্যান আবারো থামার জন্য বলেন।
এরপর মাওলানা নিজামী বলেন, সামরিক বেসামরিক সবার মধ্য থেকে বাছাই করেই ১৯৫জনকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাদেরকে এখানে আনা হয়নি। মালেক মন্ত্রী সভার সদস্যদেরও এখানে আনা হয়নি।
শান্তি কমিটির শীর্ষ পর্যায়ে বা জেলা পর্যায়ের নেতৃত্বে যারা ছিলেন, তাদেরকেও এখানে আনা হয়নি। সবুর খানকে তো মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান জেল থেকে আনতে নিজে গাড়ী পাঠিয়েছিলেন।
তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক ভূমিকার কারণেই যুদ্ধাপরাধ বা মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনার সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। মাওলানা নিজামী বলেন, ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। আমি পত্রিকায় দেখেছিলাম, ভূট্টোকে নেতৃত্বে টিকিয়ে রাখার জন্যই ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। ভূট্টোই জেনোসাইডের জন্য দায়ী। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১লা মার্চ এসেম্বলী যখন মুলতবি ঘোষণা করা হয়, তখন ষ্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলা চলছিল, মুলতবি ঘোষণার পর দর্শকরা রাস্তায় নেমে বলেছিল, ....পূর্ব বাংলা স্বাধীন করো। মাওলানা নিজামী আরো বলেন, ১৯৭৪ সালে ভূট্টো বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় মেহমান হিসেবে এসেছিলেন। তখন তাকে নজিরবিহীন সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল। এতো মানুষের ঢল নেমেছিল যে, তাকে হেলিকপ্টারে করে সাভার স্মৃতিসৌধে নিতে হয়েছিল। চেয়ারম্যান এই পর্যায়ে বলেন, ডিফেন্স ডিসক্লোজ করবেন না। এগুলো তো আপনার ল'ইয়ার বলবেন। এরপর মাওলানা নিজামী বলেন, ২০০১ সালে মন্ত্রী হওয়ার পর তারা আরো বেশী ক্ষেপে যায়। তখন আমি তাদের বেশী নজরে আসি। মন্ত্রী হওয়ার পর দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও স্বার্থ বিরোধী কোন কাজ করিনি।
কৃষি মন্ত্রী থাকাকালে দেশীয় ফলজ বৃক্ষ উৎপাদনের পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। এরপর থেকে দেশীয় ফলের উৎপাদন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। এটা কী দেশের পক্ষে গেলো নাকি বিপক্ষে গেলো? চেয়ারম্যান আবারো কথা শেষ করতে বলেন। তিনি বলেন, কোন সরকারই শেষ সরকার নয়, দুনিয়ার কোন বিচারই শেষ বিচার নয়। এই বিচারের শেষে আরেক বিচার আছে। যেখানে আমাকে, আপনাকে সবাইকে দাঁড়াতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, এটা সবাই জানে প্রতিহিংসার রাজনীতি চরিতার্থ করার জন্যই এই বিচার করা হচ্ছে। তিনি চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি এখানে আসার আগে হজ্জ করেছেন। তখন চেয়ারম্যান বলেন, আগে নয়, এখানে বসা অবস্থায় (ট্রাইব্যুনালে আসার পর) হজ্জ করেছি। এরপর মাওলানা নিজামী বলেন, হজ্জের সময় আপনি রাসূল (সা:) এর রওজায় সালাম দিয়েছেন। আমি রাসূল (সা:) এর দু'টি হাদীস উল্লেখ করেই বক্তব্য শেষ করছি। প্রথম হাদীসটি হচ্ছে, একজন মানুষ মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, তিনি যেটা শুনলো, সেটা বললো। রাসূল (সা:) এ কথার ভিত্তিতে বলা যায়, শুনা কথা মামলার এভিডেন্স হতে পারে না। দ্বিতীয় হাদীসটি হচ্ছে, বিচারকরা তিন শ্রেণীর হয়। এক. হক্ব ঘটনা উদঘাটন করেন, উপলব্ধি করেন এবং হক্বের পক্ষে রায় দেন। তারা জান্নাতি। দুই. হক্ব বুঝবেন, কিন্তু রায় দিবেন বিপরীত। তারা জাহান্নামী। তিন. না বুঝেই রায় দেন। তারাও জাহান্নামী। আমি প্রাণ খুলে দোয়া করবো, আপনি প্রথম শ্রেণীর বিচারকদের কাতারে শামিল হবেন। দ্বিতীয় বা তৃতীয় কাতারে শামিল হবেন না।
No comments:
Post a Comment