আমেরিকার দাবী করেছে, আজ পর্যন্ত এতো বড় অ-পারমাণবিক বোমা হামলা বিশ্বের কোথাও সংঘটিত হয়নি। ২১৬০০ পাউন্ড মানে হলো ৯৭৯৭.৬ কেজি। আর ৯৭৯৭.৬ কেজি মানে হলো প্রায় ৯.৮ মেট্রিক টন। এর মানে হলো, আমাদের দেশের ৫ টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রায় দুইটা ট্রাক লাগবে এই বোমাটা ধারণ করতে।আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলছে, সম্ভবত সেখানে কেউ বেঁচে নেই। যদিও বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ৮০-৯০ জন মানুষ মরার খবর প্রচার করছে।
যে বোমাটা ফেলা হলো, এর রেঞ্জ হলো এক বর্গকিলোমিটার। অর্থাৎ যেখানে বোমাটা পড়েছে এর চারদিকে এক কিলোমিটার অঞ্চল পর্যন্ত সে ধ্বংস করে দিয়েছে।
.
আমেরিকার ওয়েবসাইট বলছে বোমাটা পারমাণবিক নয়। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে, আমেরিকা সত্যটা লুকাচ্ছে। যদি ধারণা সত্যি হয়, তাহলে নাগাসাকি হিরোশিমার চাইতেও ভয়ঙ্কর বিপর্যয় নিয়ে আসবে এই বোমা।
এতো ভয়াবহ একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হলো, কতো হাজার মানুষ মরেছে, আল্লাহই ভালো জানেন,কিন্তু দেশি ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া দেখুন, আশ্চর্যজনকভাবে নীরব। যারাও টুকটাক প্রকাশ করছে, সেটা প্রকৃত ঘটনার তুলনায় সরিষার দানা পরিমানও না।
মুসলমানের সবার ঘরে হয়তো এই সংবাদটি এখনো পৌঁছেনি। অথবা যাদের কাছে পৌঁছেছে তাদের প্রায় সবার কাছে এই সংবাদটি হয়তো কোনও মূল্যই রাখে না। বরং পহেলা বৈশাখ, মঙ্গল শোভাযাত্রা, শাকিব-অপুর নাটক কিংবা আইপিএলের খবরই ওদের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
.
আমেরিকার ওয়েবসাইট বলছে বোমাটা পারমাণবিক নয়। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে, আমেরিকা সত্যটা লুকাচ্ছে। যদি ধারণা সত্যি হয়, তাহলে নাগাসাকি হিরোশিমার চাইতেও ভয়ঙ্কর বিপর্যয় নিয়ে আসবে এই বোমা।
এতো ভয়াবহ একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হলো, কতো হাজার মানুষ মরেছে, আল্লাহই ভালো জানেন,কিন্তু দেশি ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া দেখুন, আশ্চর্যজনকভাবে নীরব। যারাও টুকটাক প্রকাশ করছে, সেটা প্রকৃত ঘটনার তুলনায় সরিষার দানা পরিমানও না।
মুসলমানের সবার ঘরে হয়তো এই সংবাদটি এখনো পৌঁছেনি। অথবা যাদের কাছে পৌঁছেছে তাদের প্রায় সবার কাছে এই সংবাদটি হয়তো কোনও মূল্যই রাখে না। বরং পহেলা বৈশাখ, মঙ্গল শোভাযাত্রা, শাকিব-অপুর নাটক কিংবা আইপিএলের খবরই ওদের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
অথচ ইউরোপ আমেরিকায় তাদেরই কোনও সাজানো নাটকে দু-চারজন সাদা চামড়ার ইয়াহুদী/খ্রীস্টান মারা গেলে, সারা পৃথিবী হইহই করে উঠে। ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচার চেঞ্জ করার ডাক আসে, ওয়ালে ওয়ালে হ্যাশ ট্যাগের উৎসব পড়ে যায়। আমরা মুসলমানের সন্তানেরাও তাদের ব্যথায় যারপরনাই ব্যথিত হই! অথচ আজকে পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম একটি হত্যাযজ্ঞে বিশ্বের কোথাও কোনও মাতম উঠেনি। আমরাও খবর নিয়ে দেখবার গরজ অনুভব করিনি।
নিরপরাধ মুসলমানদেরকে আবু গারিব, গুয়ান্তানামোবে, তিহার কিংবা রাক্কার জেলে বছরের পর বছর বিনা বিচারে নির্যাতন করা হচ্ছে। ঘর থেকে তুলে নিয়ে আমাদের বোনদেরকে কারাগারে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হচ্ছে। এমনকি এমতাবস্থায়ই তাদের জীবনের সমাপ্তি ঘটে যাচ্ছে। অথচ আমরা কোনওদিন সেই খবর শুনিওনি। আমরা এমনই মুসলমান। এমনই আমাদের ঈমান। এবং এমনি করেই গাফেল থেকে আমরা মরার পরে জান্নাতে চলে যেতে চাই!
US Troops attack Afghan family |
ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কাছে Weapons for Mass Destruction (WMD) আছে, এই অযুহাতে আমেরিকা ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমন করে হাজার হাজার মুসলমান হত্যা করেছে, সাজানো সুন্দর দেশটি ধ্বংস করেছে। পরে তাদের দুষ্কর্মে সহযোগী ব্রিটেনের প্রেসিডেন্ট মি. টনি ব্লেয়ার এই মিথ্যা প্রোপাগান্ডার জন্য ইরাকীদের কাছে সামান্য SORRY বলে নিজের দায়মুক্তি করেছেন।
ঠিক একই কায়দায় আইসিস জংগী দমন করার অযুহাতে একের পর এক মুসলিম দেশ ধ্বংস করার জন্য আমেরিকা বহুমুখী মিথ্যা প্রোপাগান্ডা আমাদেরকে গিলতে বাধ্য করছে। আমেরিকার প্রোপাগান্ডার শিকার হয়ে যারা মনে করছেন, আফগানিস্থানে বোমা হামলা করে আমেরিকা জংগীদেরকে হত্যা করছে, এতে আমাদের মুসলমানদের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। সেই সমস্ত ভাইদের ঘুম ভাংগানোর জন্য Mother of All Bomb হামলার প্রেক্ষিতে আফগানিস্থানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এর একটা বক্তব্য তুলে ধরছি।
Former Afghan President Hamid Karzai said Saturday he is unleashing a campaign to force U.S. forces out of his country for dropping the so-called “mother of all bombs” on Afghan soil, calling it a "barbaric" act that was more aimed at testing "a new weapon of mass destruction" than targeting Islamic State fighters.
“I have decided as an individual to force America out of Afghanistan. Whether someone joins me or not, I have decided to prevent the American cruelty (against Afghans). They are not only killing our people but destroying the environment and disrespecting our honor,” Karzai told a gathering in Kabul.
“I have decided as an individual to force America out of Afghanistan. Whether someone joins me or not, I have decided to prevent the American cruelty (against Afghans). They are not only killing our people but destroying the environment and disrespecting our honor,” Karzai told a gathering in Kabul.
No comments:
Post a Comment